লিওনেল মেসি ও বার্সেলোনা যেন একটি বৃন্তে ফোটা দুটি ফুল। ২১ বছরের মায়ার বাঁধন ছিন্ন করে ফ্রান্সের ক্লাব পিএসজির তাঁবুতে ঠাঁই নিয়েছেন মেসি। তার আগমনে পিএসজি সমর্থকরা নতুন আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু মেসির পারফরম্যান্স হাসি ফোটাতে পারেনি তাদের মুখে। পিএসজিতে এখনো নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি মেসি। চেনাতে পারছেন না নিজের জাত। ইতোমধ্যে তিনটি ম্যাচে মাঠে নেমেও বিশেষ কিছু করতে পারেননি। মেসি, নেইমার, কিলিয়ান এমবাপ্পে- এই ত্রয়ীকে বর্তমান সময়ের সবচেয়ে শক্তিশালী আক্রমণভাগ বললে বাড়িয়ে বলা হবে না!
মেসির আগমনে পিএসজি সমর্থকরা যতটা আশা করেছিলেন, তার চেয়ে বেশি হতাশ হয়েছেন। তার বাঁ-পায়ের জাদু এখনো দেখাতে পারেননি। বরং, তিনি আসার পর পিএসজির ঘরে সৃষ্টি হয়েছে অশান্তি। এমবাপ্পে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে পাড়ি জমাতে চেয়েছিলেন। কেনইবা চাইবেন না? মেসির আগমন মানে এমবাপ্পে, নেইমার, ইকার্দি, ডি মারিয়াদের মতো তারকাদের যেকোনো দিন যে কাউকে সাইড বেঞ্চ বসে থাকা। রাগে, ক্ষোভে, অভিমানে হয়তো ঘর ছাড়তে চেয়েছিলেন এমবাপ্পে। তিনি তো এখন আগুনে ফর্মেই রয়েছেন।
এতো মেসি-পিএসজি কাহানি। ওদিকে মেসিকে হারিয়ে বার্সেলোনার অস্থা নাজেহাল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে বিধ্বস্ত হওয়ার পর লা লিগায় তাদের অবস্থা আরও শোচনীয়। মেসির শূন্যস্থন পূরণ করা তো দূরের কথা, পারফরম্যান্সে তার মানের ধারেকাছেও যেতে পারেনি কেউ। পাসিং ফুটবল ছেড়ে ইদানীং ক্রসনির্ভর খেলা শুরু করেছে বার্সা। মেসি চলে যাওয়ার পর বার্সার পারফরম্যান্সে ভাটা পড়েছে। কোচ রোনাল্ড কোমানের চাকরি নিয়ে শুরু হয়ে গেছে টানাটানি। স্প্যানিশ মিডিয়ায় গুঞ্জন, যেকোনো সময় বরখাস্ত হতে পারেন এই ডাচ কোচ। ছয়জনের নতুন কোচের সংক্ষিপ্ত তালিকাও নাকি করে ফেলেছে বার্সা কর্তৃপক্ষ। মেসি ও বার্সেলোনার বুকে যেন একই আগুন দাউ দাউ করে জ্বলছে। বিচ্ছেদের পরও যেন তারা কত কাছে! কী আগুন জ্বলছে বুকে...!

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন