শুক্রবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

রেফারিকে চোর বলে লাল কার্ড পেলেন ফুটবল দলের কর্তা

 


৩ ফেব্র“য়ারি (শুক্রবার) কুমিল্লার ভাষা শহিদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে বসুন্ধরা কিংস ১-০ গোলে হারায় মোহামেডানকে। এই ম্যাচের রেফারি আলমগীর সরকার বসুন্ধরার কিংসের সাতজনকে হলুদ কার্ড দেখান।

এতে ক্ষেপে যান দলের টেকনিক্যাল ডাইরেক্টর বায়েজিদ আলম জোবায়ের রেফারিকে ‘চোর’ বলেন। রেফারি তাকে সরাসরি লালকার্ড দেখান।

পরে বায়েজিদ বলেন, ‘রেফারির একের পর এক কার্ডে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলাম আমরা। তাই আমি তাকে চোর বলি।’


বুধবার, ৬ অক্টোবর, ২০২১

শামীমের 'জাদুর বাক্সে' নব্বই দশকের স্মৃতি


একটা সময় গ্রামের মানুষের বিনোদনের প্রধান মাধ্যম ছিল রেডিও, টেলিভিশন। গ্লোবাল ভিলেজের যুগে এসব এখন রূপকথার গল্প হয়ে গেছে। নেটওয়ার্কের বাইরে গ্রামের মানুষের ওপর বিনোদনের মাধ্যমগুলো কেমন প্রভাব ফেলত তা নিয়ে একটি শর্টফিল্ম নির্মাণ করেছেন শামীম হোসেন। ‘জাদুর বাক্স’ নামের এই শর্টফিল্মটি মঙ্গলবার হাইস্পিড প্রোডাকশন ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। শামীম হোসেনের রচনা ও পরিচালনায় এতে সহকারী পরিচালক ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন ইসমাইল হোসেন সৌরভ। চিত্রগ্রহণ করেছেন সগীর খান। ফর্সা ডিটারজেন্ট পাউডার নিবেদিত মিলন খানের প্রযোজনায় শর্টফিল্মে মূখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন শামীম হোসেন, এনায়েত রাজীব, সিনথিয়া পারভিন পল্লবী, এমডি আরফিন ইসলাম ও চায়না আলম।


নির্মাতা শামীম বলেন, ‘নব্বইয়ের দশকে যাদের শৈশব গ্রামে কেটেছে, তাদের বিনোদনের একমাত্র মাধ্যম ছিল রেডিও, টেলিভিশন। মানুষ তখন দলবেঁধে বেতার, টেলিভিশনে বিভিন্ন অনুষ্ঠান উপভোগ করতেন। টেলিভিশনের ব্যাপক প্রসার শুরু হলে রেডিওর প্রভাব কমতে থাকে। গ্রামের মানুষের জীবনে রেডিও, টেলিভিশ তখন কেমন প্রভাব ফেলত সেই গল্পই তুলে ধরা হয়েছে ‘জাদুর বাক্স’ শর্টফিল্মে। আশা করি, সবাই উপভোগ করবেন।’ 


১৯৯২ সালে যশোরের বাঘারপাড়া থানায় জন্মগ্রহণ করা শামীম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। মানস নাট্যাঙ্গনের এই থিয়েটার কর্মীর অভিনয় জীবনে প্রবেশ ২০১৬ সালে ইয়াসিন রহমান সুমনের পরিচালনায় শিশু মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীক ‘কান্ট্রি ইজ মাই হার্ট’ শর্টফিল্মের মাধ্যমে। ক্রীড়া সাংবাদিক শামীমের লেখা ও পরিচালনায় প্রথম শর্টফিল্ম ‘যদি থাকে নসিবে’ মুক্তি পায় ২০১৯ সালে। এরপর তিনটি নাটক ও ২০টির বেশি শর্টফিল্ম রচনা ও পরিচালনা করেছেন তিনি। তার উল্লেখযোগ কাজের মধ্যে রয়েছে- ভিলেজ মেম, তাফালিং জামাই, নবাব আলম, প্রেম সম্রাট, কাঠগড়ায় মায়ের সম্মান ইত্যাদি।

সোমবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১

Hakuho, All Time Greatest Sumo Wrestler Retire

After more than a thousand victories, wrestler Hakuho has said goodbye to Sumo. After coming to Japan from Mongolia at the age of 15, Sumo became involved in wrestling. Hakuho then took the top spot in Sumo. The 38-year-old wrestler sustained knee injuries. That's why Hakuho is suffering from injury. In the end, wrestler Hakuho thought of saying goodbye to Sumo. 

Hakuho has won 1187 matches so far. Sumo which is one of the records. He suffered an injury earlier this year. Throughout his career, Hakuho has won more titles than any other sumo wrestler in history. He set a winning and perfect championship record. Hakuho made his Sumo debut in 2001 and was promoted to Yokozuna six years later. He is known for his aggressive style. Many newcomers come to this game to watch his game and many people pay attention to sumo.

Earlier this year, Hakuho underwent surgery on his right knee. He received a warning from the Yokozuna Delivery Council last November, saying any future show at the tournament could force him to retire. After winning his 45th tournament in July, the wrestler told Japanese broadcaster NHK that he was not feeling well and was thinking about his career. Hakuho was granted Japanese citizenship in 2019, which gave him the right to train new Japanese wrestlers in the future.

চিরতরুণ রোনালদোর রহস্য উন্মোচন



দেখে বোঝার উপায় নেই তার বয়স ৩৬। এই বয়সেও দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন মাঠ। ছুটিয়ে চলেছেন গোলের ফোয়ারা। মাসখানেক আগে ইতালির ক্লাব জুভেন্টাস ছেড়ে ইংল্যান্ডে ফিরেছেন। প্রায় এক যুগ পর ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে ফিরে যারপরনাই খুশি এই পর্তুগিজ মহাতারকা। তবে তার খাবারের মেন্যু বেশ বেকায়দায় ফেলেছে ম্যানইউ খেলোয়াড়দের। রোনালদোর ফিটনেস ধরে রাখার রহস্য কী? এ যেন কোটি টাকার প্রশ্ন! আজকের লেখায় সেই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছি।

ম্যানইউতে রোনালদো ফিরেছেন এক মাস হলো। তারমধ্যেই ফ্যাসাদ বেঁধে গেছে। তার খাবারের তালিকা নিয়ে অসন্তুষ্ট ম্যানইউর অন্যান্য খেলোয়াড়রা। রোনালদোর পছন্দের খাবার ম্যানইউর ক্যানটিনে রাখতে বলা হয়েছে। ক্লাবের বড় তারকার অনুরোধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ। একপ্রকার বাধ্য হয়েই দলের বাকি ফুটবলাররা রোনালদোর পছন্দের খাবার খাচ্ছেন।

রোনালদো বরাবরই স্বাস্থ্য-সচেতন। খাবারের দিকে তার বিশেষ নজর। তিনি বেশি জোর দেন প্রোটিন জাতীয় খাবারের ওপর। তার খাবারের তালিকা অন্যদের চেয়ে অনেক আলদা। তিনি কখনো মদ পান করেননি! অবিশ্বাস্য হলেও সত্য। বহুবার তিনি গণমাধ্যমে বিষয়টি পরিষ্কার করে বলেছেন।
রোনালদোর আবদার মেনে ম্যানইউর ক্যানটিনে খাবারের তালিকায় রাখা হয়েছে অক্টোপাস ও পর্তুগিজ খাবার ‘বালকাহু’। রোনালদো তার সতীর্থদের সেই খাবার খেতে অনুরোধ করেছেন। কিন্তু সবাই তো আর অনুরোধে ঢেকি গেলেন না। তাদের সবচেয়ে বেশি আপত্তি অক্টোপাস নিয়ে। তাই তারা নিজেদের পছন্দের খাবার বদলাতে রাজি নন। এ নিয়ে ম্যানইউ শিবিরে দেখা দিয়েছে মধুর সমস্যা।
সম্প্রতি এক বার্গার দোকান থেকে রোনালদো তার পছন্দের হ্যাম খেয়েছেন। দলের এক খেলোয়াড় বলেছেন, রোনালদো তার খাবারের তালিকায় প্রোটিন রাখে। হ্যাম, ডিম, অক্টোপাস তার নিয়মিত খাবার। বাকিরা কিছুতেই সেই খাবার মুখে তুলতে চাইছে না। রোনাল্ডোর অনুরোধে কয়েকজন পর্তুগিজ খাবার খেয়েছিল। তারা প্রচণ্ড হতাশ।
রোনালদো ঘন ঘন খান, তবে পরিমাণে খুব অল্প। তিন থেকে চার ঘণ্টা পর পর তিনি খাবার গ্রহণ করেন। দিনে প্রায় ছয় থেকে সাতবার। তার চর্বিমুক্ত পেশির প্রধান নিয়ামক সঠিক নিয়মে খাদ্যগ্রহণ। তার ব্যক্তিগত পুষ্টিদিন আছে। তিনিই মূলত রোনালদোর স্বাস্থ্যের দেখভাল করেন। ঠিক করে দেন সঠিক খাবার মেন্যু। বাংলাদেশের মানুষ শাকসবজি তেমন একটা খেতে না চাইলেও রোনালদো তার তার খাবার তালিকায় শস্য জাতীয় খাবার, টাটকা ফল এবং মাছ রাখেন। তলোয়ার মাছ, কড মাছসহ বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক মাছ খেয়ে থাকেন তিনি। তিনি কখনো হিমাগারের খাবার গ্রহণ করেন না। পনির, হ্যাম, কম চর্বির দই, ফলমূল দিয়ে রোনালদো তার সকালের নাশতা সারেন। তার খাবারে থাকে নানা পদের বাহারি সালাদ।

রবিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১

আইসিইউতে ভর্তি দুরন্ত শৈশব! (ভিডিও)

ঠিক কোথা থেকে শুরু করব, এ নিয়ে ভাবতেই কেটে গেল অনেকটা সময়। এমন একটি বিষয়ে লিখতে বসেছি, যার সাথে প্রতিটি মানুষেরে আবেগ জড়িত। জীবনের এতটা পথ পাড়ি দেওয়ার পরও বার বার পিছু টানে ফেলে আসা দুরন্ত শৈশব। অর্থ, সম্মান, খ্যাতি- সবকিছু পাওয়ার পরও যেন সোনার হরিণ হয়ে অধরাই থেকে যায় জীবনের এই কয়েকটি বছর সময়। শৈশব জীবনের এমন একটি সময় যেখানে থাকে না কোনো সত্যিকারের লোভ, হিংসা। প্রতিটি শিশুর মনে ঢেউ খেলে যায় শুধু আনন্দধারা। শৈশবের এই দুরন্তপনা মানে না কোনো সমাজের প্রতিষ্ঠিত বাধা। শুধুই মনের খেয়ালে ছুটে চলা আমাগীর পথে। যদিও সব মানুষের শৈশব একইরকম কাটে না।

দুরন্ত শৈশব মানেই যেন, খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে দলবেঁধে ফুল, আম, তাল কুড়াতে বেরিয়ে পড়া। বৈশাখের তপ্ত দুপুরে অন্যের গাছের আম চুরি করে খাওয়ার পর ধরা পড়ে গাছ মালিকের গালাগালি শোনার পর ঘরে ফিরে বাবা-মার পিটুনি সহ্য করা। চুরি করে গেরোস্থর দৌড়ানি খাওয়াটাও ফল খাওয়ার চেয়ে কোনো অংশে কম উপভোগের না। বৃষ্টির দিনে ভরা পুকুর, খাল, বিলে গাছের মগডাল থেকে পানিতে ঝাঁপ দেওয়া ছাড়া গোসল ছিল অসম্পূর্ণ। স্কুল ফাঁকি দিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে মার্বেল খেলা ছিল খুব সাধারণ ব্যাপার। বিকালে স্কুল মাঠে ক্রিকেট, বাড়ির পাশের অনাবাদি জমিতে, বউচি, গাদন, সাত চাড়া, বোম ব্লাস্টিং, চোখবাঁধাসহ অসংখ্য গ্রামীণ খেলা কখনো ভোলার নয়। বৃষ্টির দিনে অন্যের গাছে জাম্বুরা পেড়ে অথবা তাল গাছের পাতা দিয়ে তৈরি করা বল নিয়ে কাদার মধ্যে ফুটবল খেলতে নামা আমরণ মনে থাকবে সবার। একটা ফুটবল পাওয়ার জন্য গ্রামের মাতুব্বর বা ইউপি মেম্বারের কাছে বার বার ধরনা দেওয়া ছিল এক রোমাঞ্চকর মুহূর্ত। 
সন্ধ্যার পর স্কুলের পড়া কোনোমতে শেষ করে উঠানে পাটি বিছিয়ে দাদা-দাদির মুখে চাঁদের বুড়ি, রাজা-রানির গল্প শোনা ছিল দিনের সবচেয়ে সেরা সময়। মাঝেমধ্যে বধুন্ধরা মিলে কারো বাড়ির মুরগি, হাঁস চুরি করে মাঠের মধ্যে কোনো গাছের নিচে রাতভর পিকনিক করার মধ্যে ছিল আলাদা আনন্দ। গ্রামের মানুষ একটু অন্তঃর্মুখী হলেও তাদের মেয়েরাও বিকালের বান্ধবীদের সঙ্গে খেলায় অংশগ্রহণ করত। মেয়েদের অন্যতম প্রধান খেলা ছিল পুতুল নিয়ে খেলা। স্বাধীনতা দিবসে প্রত্যেক শিক্ষাপতিষ্ঠানে অনুষ্ঠান মানে ছিল যেন উৎসব। ঈদের দিন কোনোমতে নামাজ শেষ করে মার্বেল, পিস্তল এবং অন্যান্য খেলনা কিনে বাড়ি থেকে সাময়িক হারিয়ে যাওয়া ছিল প্রত্যেশ কিশোরের স্বাভাবিক ঘটনা। এভাবে কয়েকদিন চলত মার্বেল খেলার ধুম। এছাড়া আরও কত স্মৃতি জড়িয়ে আছে ফেলে আসা শৈশবে। যা আজ শুধু আগুন জ্বালিয়ে দেয় মনের কোনে। ফিরিয়ে নিয়ে যায় সেই শৈশবে।
তবে দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় হলো এই যে, মোটামুটিভাবে ২০০৫ সালের পরে যাদের জন্ম, উপরে উল্লিখিত বিষয়গুলো তাদের কাছে অলীক মনে হতে পারে। হবেইবা না কেন? সময় বদলেছে না? ইন্টারনেট নির্ভর এই পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে প্রচণ্ড গতিতে। এখনকার ছেলে-মেয়েরা জন্মের পর স্মার্টফোন হাতে নিয়ে বড় হয়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও গেমস খেলে সময় কাটে তাদের। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা তাদের কাঁধে ঝুলিয়ে দিয়েছে বইয়ের ঝুলি। স্কুল শেষে ঘরে ফিরে তারা ব্যস্থ হয়ে পড়ে হাউস টিউটর বা বাড়ির কাজে। বাকি সময় কাটে তাদের টেলিভিশনে বিভিন্ন কার্টুন বা সিরিয়াল দেখে। মাঠে গিয়ে খেলার সময় কোথায় তাদের? যান্ত্রিক পৃথিবীতে এমনিতেই কোনোভাবে তাদের মাঠমুখি করা যাচ্ছে না। তারওপর শহরাঞ্চলে পর্যাপ্ত খেলার মাঠেরও রয়েছে বড় অভাব। অভিভাবকরাও যেন এই প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে এড়িয়ে যান সন্তানদের প্রতি তাদের দায়িত্ব। এসব কারণেই এদেশের শিশুরা ভুলে যাচ্ছে তাদের গ্রামীণ ঐতিহ্য। কালের বিবর্তনে ধুঁকতে থাকা গ্রামীণ সংস্কৃতি হারাতে বসেছে গৌরব। আইসিইউতে ভর্তি দুরন্ত শৈশব!




মঙ্গলবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১

কী আগুন জ্বলছে বুকে...!

 


লিওনেল মেসি ও বার্সেলোনা  যেন একটি বৃন্তে ফোটা দুটি ফুল। ২১ বছরের মায়ার বাঁধন ছিন্ন করে ফ্রান্সের ক্লাব পিএসজির তাঁবুতে ঠাঁই নিয়েছেন মেসি। তার আগমনে পিএসজি সমর্থকরা নতুন আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু মেসির পারফরম্যান্স হাসি ফোটাতে পারেনি তাদের মুখে। পিএসজিতে এখনো নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি মেসি। চেনাতে পারছেন না নিজের জাত। ইতোমধ্যে তিনটি ম্যাচে মাঠে নেমেও বিশেষ কিছু করতে পারেননি। মেসি, নেইমার, কিলিয়ান এমবাপ্পে- এই ত্রয়ীকে বর্তমান সময়ের সবচেয়ে শক্তিশালী আক্রমণভাগ বললে বাড়িয়ে বলা হবে না!

মেসির আগমনে পিএসজি সমর্থকরা যতটা আশা করেছিলেন, তার চেয়ে বেশি হতাশ হয়েছেন। তার বাঁ-পায়ের জাদু এখনো দেখাতে পারেননি। বরং, তিনি আসার পর পিএসজির ঘরে সৃষ্টি হয়েছে অশান্তি। এমবাপ্পে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে পাড়ি জমাতে চেয়েছিলেন। কেনইবা চাইবেন না? মেসির আগমন মানে এমবাপ্পে, নেইমার, ইকার্দি, ডি মারিয়াদের মতো তারকাদের যেকোনো দিন যে কাউকে সাইড বেঞ্চ বসে থাকা। রাগে, ক্ষোভে, অভিমানে হয়তো ঘর ছাড়তে চেয়েছিলেন এমবাপ্পে। তিনি তো এখন আগুনে ফর্মেই রয়েছেন।
এতো মেসি-পিএসজি কাহানি। ওদিকে মেসিকে হারিয়ে বার্সেলোনার অস্থা নাজেহাল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে বিধ্বস্ত হওয়ার পর লা লিগায় তাদের অবস্থা আরও শোচনীয়। মেসির শূন্যস্থন পূরণ করা তো দূরের কথা, পারফরম্যান্সে তার মানের ধারেকাছেও যেতে পারেনি কেউ। পাসিং ফুটবল ছেড়ে ইদানীং ক্রসনির্ভর খেলা শুরু করেছে বার্সা। মেসি চলে যাওয়ার পর বার্সার পারফরম্যান্সে ভাটা পড়েছে। কোচ রোনাল্ড কোমানের চাকরি নিয়ে শুরু হয়ে গেছে টানাটানি। স্প্যানিশ মিডিয়ায় গুঞ্জন, যেকোনো সময় বরখাস্ত হতে পারেন এই ডাচ কোচ। ছয়জনের নতুন কোচের সংক্ষিপ্ত তালিকাও নাকি করে ফেলেছে বার্সা কর্তৃপক্ষ। মেসি ও বার্সেলোনার বুকে যেন একই আগুন দাউ দাউ করে জ্বলছে। বিচ্ছেদের পরও যেন তারা কত কাছে! কী আগুন 
জ্বলছে বুকে...!

রবিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১

খাঁচায় বন্দি ‘টুরু লাভ’


প্রথম প্রেমে পড়া অবুঝ মনের কোণে সবচেয়ে বেশি উঁকি মারে আকাশের বাঁকা চাঁদ। ভালোবাসার মানুষের মুখে ভেসে ওঠে পূর্ণিমার চাঁদ। বার বার ছুঁয়ে দেখতে ইচ্ছে করে প্রেমিকার চাঁদবদন। প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে উপমা দেওয়ার একমাত্র নির্ভরযোগ্য ভরসাই যেন তখন যোজন যোজন দূরের চাঁদ। ছোটবেলায় দাদি-নানির মুখে শোনা চাঁদের বুড়ির গল্পও যেন বাস্তবতার বাতি জ্বেলে দেয় মনের কোণে। কিন্তু মাটির পৃথিবীতে প্রিয় মানুষটিকে খুশি করার জন্য প্রতিটি প্রেমিক পুরুষকে ফুলের দ্বারস্থ হতে হয়। এসব সেকেল। যুগের সঙ্গে মানুষের ভালোবাসারও পরিবর্তন ঘটেছে। এখন মানুষ হাতে ফুল পাওয়ার চেয়ে বড় বড় রেস্টুরেন্টে গিয়ে দামি দামি বিদেশি খাবার খাওয়াকেই যেন বেশি প্রাধান্য দিয়ে ফেলছে। এখন আর প্রিয়ার খোপায় গাঁদা অথবা জবা ফুল গুঁজে দেয় না। সম্পর্ক গড়তে তাদের একমাত্র আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে নামি দামি রেস্তোরাঁ। প্রাকৃতিকে বাদ দিয়ে মানুষ হয়ে উঠেছে বড় বেশি মেকি। বিশেষ দিনগুলোতে প্রেমিকের হাতে ফুলের চেয়ে ভালো-মন্দ খাবারের বাজেট দেখেই বেশি পুলকিত হয় প্রেমিকা।
কয়েকদিন আগে কঠোর লকডাউনের মধ্যে গিয়েছিলাম ঢাকার অদূরে বিরুলিয়ার গোলাপগ্রামে। যে গ্রামের সিংহভাগ মানুষ গোলাপ চাষ করেন। তাদের জীবিকার প্রধান মাধ্যম গোল চাষ। বিশ্বব্যাপী করোনার প্রকোপের প্রভাব পড়েছে এই গ্রামে। কমেছে গোলাপের দামও। অন্য সময় যেখানে গোলাপের দাম প্রতি পিচ পাঁচ থেকে দশ টাকা, করোনার দরুন সেই গোলাপের দাম নেমে দাঁড়িয়েছে প্রতি পিচ পঞ্চাশ পয়সায়! একবার ঠান্ডা মস্তিষ্কে ভেবে দেখেছেন? কী ভয়ানক, সাংঘাতিক। মানুষ এখন আর ধুমধামের সঙ্গে বিভিন্ন বিদস, অনুষ্ঠান করে না। এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে গোলাপ চাষীদের ওপর। কয়েকজন চাষীর সঙ্গে কথা বলে যা জেনেছি, তা হৃদয়বিদারক। একশ গোলাপের আঁটি থরে থরে সাজিয়ে রাখা পথের ধারে। কোনো দর্শনার্থী দেখলেই ডেকে ডেকে বলছেন, ভাই গোলাপ নিয়ে যান। প্রতি পিচ পঞ্চাশ পয়সা। একজন চাষীর এরচেয়ে দুর্দিন আর কী হতে পারে?
ভালোবাসার সঙ্গে গোলাপের সম্পর্ক অঙ্গাঙ্গীন। প্রথম প্রেমের প্রস্তাব একটি গোলাপ অথবা রজনিগন্ধার স্টিক ছাড়া কল্পনা করা যায় না। করোনায় গৃহবন্দি মানুষের ভেতরে প্রেমও যেন মরতে বসেছে! যান্ত্রিক যুগে তাই একথা নির্দিধায় বলা যায়, গোলাপের সঙ্গে কমেছে প্রেমের দাম। খাঁচায় বন্দি ‘টুরু লাভ’।

রেফারিকে চোর বলে লাল কার্ড পেলেন ফুটবল দলের কর্তা

  ৩ ফেব্র“য়ারি (শুক্রবার) কুমিল্লার ভাষা শহিদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে বসুন্ধরা কিংস ১-০ গোলে হারায় মোহা...